হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই রাহনুমা করে গেছেন। ঘরে ও বাইরে এমন কোন দিক নেই যা রাসূল (সা.) আমাদের সামনে তুলে ধরেননি। তার এই সামগ্রিক শিক্ষার তুলনা পৃথিবীর আর কোনো ধর্মেই ছিল না।





তিনি যেভাবে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন এবং পারিবারিক জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান আমাদের সামনে খোলাসা করেছেন। আর এটা কেউ আগে কখনো করেনি।
সেই ব্যপকতার একটি অংশ হলো নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করার বিধান। কোনো কোনো বর্ণনায় নাভির নিচের লোশ মুণ্ডন করার কথা আবার কোনো কোনো বর্ণনায় লোহার তৈরি ধারলো কোন যন্ত্র দিয়ে পরিষ্কার করার কথা উদ্ধৃত হয়েছে। আর এটাই মুস্তাহাব। এতে উম্মতের কারও কোনো দ্বিমত নেই। (আল ইতহাফ)।





যদি এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে সাহায্য করতে বলে তাহলে স্ত্রীর জন্য এটা ওয়াজিব বলে বিবেচিত হবে। (শরহে মুহায্যাব) এই ক্ষেত্রে ৪০ দিনের চেয়ে বেশি দেরি করা মাকরূহ।
সর্বনিম্ন কোনো মেয়াদ নির্ধারিত নেই। বরং ব্যক্তির পশম বড় হওয়ার ওপরই এর বিধান নির্ভরশীল।তাই এই ক্ষেত্রে এক একজনের এক এক ধরনের মেয়াদ হতে পারে। (শরহে মুহায্যাব।
মূল উদ্দেশ্য হলো পরিচ্ছন্নতা- সেটা ক্ষুর দিয়ে হোক বা অন্য কিছু দিয়ে। (ফতওয়ায়ে আলমগিরী) এই ক্ষেত্রে নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম। তবে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে। তাও মাকরূহ মুক্ত নয় (শরহে মুহায্যাব)।





নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করার সময় উপর দিক থেকে শুরু করা উত্তম। (ফতওয়ায়ে আলমগিরী)।শীতে ত্বকের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। কারণ শীতে ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক বুড়িয়ে যাবে।
শীতে ত্বক, চুল, হাত-পা আর ঠোঁটের ফেটে যায়। যত্ন ছাড়া এ সময় ত্বকের জ্যোতি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়।





তাই ক্লিনজারের উপাদানে গ্লিসারিন বা নিমের উপাদান ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করবে ও ব্রণ, ব্ল্যাকহেডের সমস্যাও কমে যাবে।আসুন জেনে নেই শীতে ত্বকের যত্ন-
১. শীতে ত্বকের যত্নে ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডোসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। ২. শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ৩. শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায়ে মাঝে মাঝে মুখে পানির ঝাপটা দিন। সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।





৪. গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
৫. গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ৬. কখনোই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়।





কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না। ৭. শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়।