তন ক্যানসার বর্তমান সময়ের একটি আলোচিত রো’গ। স্তন ক্যাসার ছাড়াও স্তনে নানা ধরণের ব্যথা নিয়ে রো’গীরা আমাদের কাছে আসেন। নানা কারণেই এই ব্যথা হতে পারে।





এক . রো’গীদের ভাষ্য অনুযায়ী অনেকক্ষেত্রে ব্যথাটা মাসিকের আগে আগে হয়ে থাকে। মাসিক বন্ধ হলে ব্যথাটা চলে যায়।
এক্ষেত্রে বলা যায়, ব্যথাটা প্রাকৃতিক নিয়মেরই একটা অংশ। প্রত্যেক মাসে যে পিরিয়ডটা হচ্ছে, তার কারণে হরমোনের যে পরিবর্তনটা হচ্ছে সেজন্যই ব্যথাটা হয়ে থাকে। এই ব্যথা নিয়ে ভ’য়ের কিছু নাই। এটা প্রাকৃতিক ব্যথা। সাধারণত এটি নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে যায়।
দুই: ব্যথা যদি তীব্র হয়, যদি ননসাইকেল ব্যথা হয় অর্থাৎ যেটা মাসিকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, একটি নির্দিষ্ট স্থানে যদি দীর্ঘসময় ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে আমি বলব অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যথাটা নানা কারণে হতে পারে।





তিন. এমনও হতে পারে ব্যথাটা ব্রেস্ট থেকে হচ্ছে। এমন ক্ষেত্রে ব্যথাটা ৫% ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণে হতে পারে। যদিও ব্রেস্ট ক্যান্সার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা বিহীন, কিন্তু ৫% ক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে। এজন্য দীর্ঘ সময় ব্যথা হলে অামরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিই।
চার. এগুলো ছাড়া অন্য কারণেও ব্যথা হতে পারে। অামাদের বুকের যে পাঁজরটা আছে সেখানেও ব্যথা হতে পারে। সেই ব্যথাটাও ব্রেস্টে ছড়াতে পারে। কারণটা যাই হোক, ব্যথার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের কাছে এসে রো’গটা নির্ণয় করা উচিত।
যদি স্বাভাবিক ব্যথা হয়, তাহলে আমরা রো’গীদের অাশ্বস্ত করি। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমন ব্যথায় রো’গী ভ’য় পেয়ে যায়। এরপরও যদি সুফল না আসে তাহলে রো’গীকে কিছু পরামর্শ দিই। কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে বলি। তারপরও উপকার না মিললে ও’ষুধ দিই।





লেখক: ডা. আফরিন সুলতানা
এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমঅারসিএস
কনসালটেন্ট, জেনারেল সার্জারী, সিটি হাসপাতাল
ল্যাপ্রস্কোপিক, ব্রেস্ট, কলোরেক্টাল সার্জারীতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।